শেখ হাসিনা দেশের অপরাধী, মৌলবাদীদের প্রতি এত সজাগ ও তীক্ষ্ণ নজর রাখার পরও কিভাবে ভয়ংকর ভয়ংকর সব হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে মুক্তমনারা।
বরগুনায় তামিমা নামক একটি ৬ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে ফেলে রেখেছে কোন কাপুরুষ ! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মাছুয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতদেহটির পাশে বই-খাতা ছত্রভঙ্গ অবস্থায় পড়ে ছিল।
বেতাগী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক গৌতম জানিয়েছেন, মৃত তামিমার যৌনাঙ্গ থেকে ছয় ইঞ্চি দৈর্ঘের একটি লাঠি বের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার গলায় প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে।
সংবাদ লেখা অবধি এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। সাব্বির নামক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই তামিমার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত তামিমা বরগুনার বেতাগি উপজেলার মাছুয়া গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
মোকামিয়া মাছুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
দুষ্কৃতি চিরদিনের মতো শেষ করে দিল তামিমার জীবন। সে আর কোনদিন ফিরবে না।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত মাসে প্রতিদিন ৭ জন করে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলায় দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিকৃতকাম পুরুষের সংখ্যা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কতজন সঠিকভাবে শাস্তি পাচ্ছে, তার কোন হিসেব নেই।
ও দেশে যৌন নির্যাতনের সংখ্যা গত আগস্ট মাসে ছিল ১৬৯। যা বেড়ে সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ২৩২-তে!
একটি দেশ তখনই সভ্য হয়, যখন দেশের মেয়েরা শিক্ষিত হয়, নারী-পুরুষে সমানাধিকার থাকে!
মায়েদের গলা বুজে আসে কথা বলতে বলতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, “মেয়েরা কোথায় যাবে? যেখানে বাবাও নিরাপদ নয়, দাদাও নয়, দাদুও নয়! তাঁরা কেবল ধর্ষক পুরুষ! আমরা সরকারের সঠিক বিচারের দিকে তাকিয়ে।”