ঢাকা: ভারতসহ সাত দেশের সামরিক প্রতিনিধিদল সোমবার বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন পরিদর্শন করছেন। বার্ষিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধি দল সুন্দরবন পরিদর্শন করলেন।
এদিন বেলা ১১টার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় দুশো কিলোমিটার দূরের শহর খুলনায় সাত দেশের সামরিক প্রতিনিধি দল পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজলে গিয়ে পৌঁছান।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মো. আজাদ কবির অতিথিদের স্বাগত জানান।
তিনি জানান, করমজল পৌঁছে তারা এখানকার বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ এ কেন্দ্রের নানা স্থাপনা ও সুন্দরনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এসময় সামরিক প্রতিনিধি দলের পরিবারের সদস্যরাও সাথে ছিলেন।
সামরিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর রাফি। করমজল পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি সুন্দরবনের হাড়বাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রে যান। এরপর তাঁরা বিকেলেই ফিরে যান।
সুন্দরবন পরিদর্শনে যাওয়া সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- ভারতের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানমতি সিং সাবারওয়াল, স্কোয়াড্রন লিডার অমিতোষ শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার লে. কর্নেল ডেমসি চেরলি সিনক্লেয়ার, মায়ানমারের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোয়ে নিয়াত, পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী এজাজ, নেপালের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোশান শমসের রানা, ফিলিস্তিনের কর্নেল মাহমুদ এম জে শারাওনাহ ও তুরস্কের কর্নেল এরদাল সাহিন।
এর আগে রবিবার ওই প্রতিনিধি দলটি গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তারা বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করেন।
খালে বিষ ফেলে মাছ শিকার, পাকড়াও ২: এদিকে পূর্ব সুন্দরবনে তুলাতলি খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় দুই জনকে হাতেনাতে আটক করেছে বনরক্ষীরা। এসময় তাদের কাছ থেকে আট বোতল রিপকেট বিষ ও ২০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার সয়ম চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন- শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের সজিব হাওলাদার (২১) ও লুৎফর তালুকদার (৫২)। এ সময় বিএলসিধারী জেলে একই এলাকার শাহিন (৩৬) বনের মধ্য পালিয়ে যায়।
বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ আধিকারিক (এসিএফ) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা বন বিভাগ থেকে পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে তুলাতলা খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল।
ধানসাগর স্টেশন আধিকারিকের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল নিয়মিত টহল দেয়ার সময় বিষ ফেলে মাছ শিকারের দৃশ্য দেখে ফেললে তাদের হাতেনাতে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুই বোতল ব্যবহৃতসহ আট বোতল রিপকট কিটনাশক (বিষ), ২০ কেজি চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, একটি বসালি জাল ও একটি ডিঙ্গি নৌকা জব্দ করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে বন আইন মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই বন আধিকারিক।
বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন আধিকারিক মো. রবিউল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জব্দ করা মাছ কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া কীটনাশকের বোতল ভেঙে অফিস সংলগ্ন বনে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।