নাসরিন প্রেমীদের জন্যে সু-খবর । লেখিকা তসলিমার ‘লজ্জা’ উপন্যাসের পরবর্তী অংশ প্রকাশ পাচ্ছে আগামি বছর।
নাম ‘লজ্জাহীন’। অনুবাদ হবে হিন্দি ভাষায়। উল্লেখ্য যে, এর পূর্বে ‘লজ্জাহীন’ এর বাংলা বা অন্য কোন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ হয়নি। ‘লজ্জাহীন’ এর অনুবাদক অরুণাভ সিনহা ।
অনুবাদক তাঁর অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেছেন যে, এই প্রথমবার নাসরিনের কোন লেখা সম্পূর্ণ অনুবাদ করছেন। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তিনি।
হার্পার কলিন্স সাহিত্য বিভাগের প্রকাশক উদয়ন মিত্র জানিয়েছেন, ‘ধর্মের রাজনীতি মানুষ ও তাদের সম্পর্ককে কোন স্থানে নিয়ে যায়, সেটাই ‘লজ্জাহীন’এ আমরা দেখতে পাব’। তিনি বই সম্পর্কে আরো জানিয়েছেন, ‘আমাদের সময়ের সাধারণ মানুষের নিষ্ঠুর, হৃদয় মোচড়ানো গল্প ‘লজ্জাহীন’ এ যেন কলকাতার লজ্জা– এ বই আমাদের সামনে আয়না ধরে দেখিয়ে দেবে ভয়ংকর রূপ, আমরা তো জানিই আয়না সত্যেরই দর্শন দেখায়’।
‘লজ্জা’ উপন্যাস একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে লজ্জা’ প্রকাশের পর তসলিমাকে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়। মৌলবাদি ইসলামি দল নাসরিনকে জীবনের হুমকি দেয় । তিনি স্বদেশ ছাড়তে বাধ্য হলেও প্রথম ছয় মাসেই লজ্জা প্রায় ৫০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছিল। তসলিমা নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার জন্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।
বহু বিতর্কিত লজ্জা’র পরবর্তী ‘লজ্জাহীন’ তসলিমা তাঁর কলকাতাবাস কালেই লিখেছিলেন।
তসলিমা জানিয়েছেন, নারীকে পণ্যের দৃষ্টিতে দেখা, সাম্প্রদায়িক মনোভাব ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে কিছু কম নেই। আমরা এক দেশ থেকে ভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, এর ফাদ থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। তসলিমা চান সত্যিকারের সমস্যার সত্যিকারের সমাধান।
তসলিমা বিশ্বাস করেন, ‘যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন, আমার জন্যে অপেক্ষা করো মধুপুর নেত্রকোনা’।