বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে গত এক সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু এবং আরো ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। করোনা মোকাবেলায় অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার তিনটি থানা এলাকাকে এক প্রকার অঘোষিত লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। রোববার রাতে জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই শিল্পাঞ্চল সদর উপজেলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এখানকার বাসিন্দাদের ঝুঁকিমুক্ত করতে চাইছেন তারা। এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস যাতে এখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে তারা দেখছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারায়ণগঞ্জ শহরের সদর উপজেলাধীন তিনটি থানা অর্থাৎ সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ফতুল্লা থানা এলাকার কাউকে বিনা প্রয়োজনে বাইরে যেতে দেয়া হবে না এবং এ এলাকার বাইরে থেকেও বিনা কারণে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, এসব এলাকায় বিনা প্রয়োজনে রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস আরোহী ও মোটরসাইকেলসহ যাত্রী বহনকারী ছোট বড় কোনো যানবাহনকে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, আমরা সবদিক বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে চিহ্নিত করেছি। সার্বক্ষণিক মোট ৩২টি চেকপোস্ট বসানো হবে। এসব চেকপোস্ট থাকবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব টহলের মাধ্যমে এসব চেকপোস্ট নজরদারিসহ পুলিশকেও সহযোগিতা করবে। সোমবার ভোর থেকেই চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হবে। কাউকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না।