সামনে ঝুলছে করোনা খাঁড়া! পাহাড়সমান ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে উঠছে লকডাউন!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে দিয়েছে, যে সব দেশ লকডাউন তুলবে তাদের সামনে করোনা ভয়াবহ আকার নিয়েই হাজির হবে।
ভয়ংকর মহামারি এই পরিস্থিতিতেও শিথিল হতে যাচ্ছে দেশে লকডাউন।
বুধবার ঢাকায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানালেন, সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিসে কাজ করবেন। তবে গণপরিবহন চলছে না। আপাতত স্কুল, কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ১৫ জুন পর্যন্ত। বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবেন না কোনভাবেই, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগদান করতে হবে।
প্রাইভেট কার জাতীয় বাহন সহ ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ধরনের যানবাহন চলবে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোনও অফিস সীমিত আকারে পরিবহন চালু করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই গ্রহণ করবে। নিজ ব্যবস্থায় বিমান চলাচল করতে পারবে। সভা-সমাবেশ, জমায়েত বন্ধ থাকবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলা রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ সমগ্র এশিয়ায় বাংলাদেশ একটা ভয়ংকর জায়গায় অবস্থান করছে।
দেশের সবকটি প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় বহু সংখ্যক করোনা সংক্রামিত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। সর্বাধিক সংক্রমণের কেন্দ্র ঢাকা।
বাংলাদেশের একাংশ জনগণ এমনিতেও কোন লকডাউন মানছেন না; সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ছুটে চলেছেন স্বাভাবিকভাবেই রাজপথে।
একদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অন্যদিকে লকডাউন শিথিল করা! বিশেষজ্ঞরা এ সংক্রান্তে গভীর চিন্তায় রয়েছেন। আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে দেশের ভয়ংকর চিত্রটি সামনে আসতে পারে।