বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বাসিন্দা নারী লোলুপ যুবক জাকির হোসেনের ইচ্ছে ছিল সাতশ মেয়েকে বিয়ে করার! একে একে মোট ২২ জন ব্যবসায়ী এবং চাকুরিজীবি মেয়েকে ধর্ষণের খবর লাভ করা গেছে। তবে সংখ্যা এত সামান্য নয় বলেই সন্দেহ।
পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব লালন করা জাকির হোসেন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রকার প্রতারণার জাল ফেলে বিয়ে করেছেন ২৮৬ জন মেয়েকে!
কিছু থাকুক না থাকুক, ধর্ষক ও পুরুষতন্ত্রকে লালন-পালন করে পুষে রাখা বাকি পুরুষের মতোই জাকির মিথ্যা প্রেমের জাল পাততে ওস্তাদ।
গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন মণিপুরি পাড়ার একটি ছাত্রী হোস্টেলের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই জাকির ও তার সহযোগী জায়েদা আক্তার শাপলাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আহমেদ জাকিরের ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড না চাওয়ায় শাপলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নানা নামে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে স্বনির্ভর মেয়েদের দেখে দেখে ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন তিনি। এমনকি রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করলে অসভ্য চরিত্রের, লোভি হোসেন ফের মেসেজ করতেন।
এভাবে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের বার্তালাপ করে কখনো নিজেকে ধনী ব্যক্তি জাহির করে, কখনোবা অনাথ পরিচয় দিয়ে তাঁদের সহানুভুতি পেতে চাইতেন।
পুরুষ তো পুরুষই। ভুয়ো প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রস্তাবে এক-একজন মেয়েকে রাজি করিয়ে ভুয়ো কাজি ডেকে ভুয়ো কাবিননামায় বিয়ে করার পরই এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়ের অলংকার, টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে অদ্ভুতভাবে ব্লেক মেইল করা আরম্ভ করে দিতেন তাঁদের।
হোসেন মেয়েদের এবং তাঁর অন্তরঙ্গ ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেবার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এমন প্রতারণা কার্যে কেবল সেই নয়। সংঘবদ্ধভাবে যুক্ত নকল কাজী ও মৌলভিসহ আরো অনেকে।
এমন নৃশংস, ঘৃণ্য ঘটনায় দেশবাসীর কোন মন্তব্য আমরা লাভ করিনি। তাঁরা কেউই নিজেদের স্থিতি এখনো জানাননি। এমন মুখে কুলুপ এঁটে থাকা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরিচয় ছাড়া আর কিছু নয়।