জাপানের বহু খাতে প্রয়োজন পড়েছে কর্মী নিয়োগের। ফলে সে দেশের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করা হবে মোট দুটো ক্যাটাগরিতে।
এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাপান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দক্ষ কর্মী প্রেরণকারী হিসেবে বাংলাদেশ নবম স্থানে রয়েছে। এবং এই স্থানে থেকেই স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ-জাপান উভয়পক্ষ কর্মীদের সু-প্রশিক্ষণ এবং নিয়োগে পারস্পরিক সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। কারণ বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একান্ত স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরেকটা জাপান। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে, এবার।
শেখ হাসিনা মে মাসেই জাপান ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এসময় তিনি ফিউচার এশিয়া শীর্ষক ২৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
জাপান সম্পর্কে অত্যাগ্রহী হাসিনা বলেছেনঃ
“ছোটবেলায় জাপানকে নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ ছিলো। আমি জাপানি চিত্রকলা, ক্যালেন্ডার, স্ট্যাম্প, পুতুল প্রভৃতি সংগ্রহ করতাম। আমার বাবার কাছ থেকেই এটা আমি পেয়েছি। বাংলাদেশকেও একদিন আরেকটি জাপান হিসেবে গড়ে তোলার তার আকাঙ্ক্ষার কথা আমার জানা ছিলো। জাপানে আশা এবং সম্প্রীতির এক নতুন যুগের যে সূচনা হয়েছে। এই নতুন সময় আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসুক, সম্পর্ককে আরও গভীর করে তুলুক এবং আমাদের শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলায় সহায়ক হোক।”
উল্লেখ্য, জাপান মোট দুটো ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মীদের কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, মেশিন পার্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কন্সট্রাকশন, জাহাজ শিল্প, অটোমোবাইল, কৃষিসহ জাপান মোট ১৪টি খাতে নিযুক্তি প্রদান করবে।
এদের মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে নিযুক্ত করা হবে পাঁচ বছরের জন্যে। সে সঙ্গে যাঁরা জাপানি ভাষায় উত্তীর্ণ হবেন এবং কাজে দক্ষতা থাকবে তাঁদের পরিবার ছাড়া নিযুক্ত করা হবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তাঁরাই যোগ দিতে পারবেন, যাঁদের ভাষা এবং কর্মদক্ষতা প্রথম ক্যাটাগরির কর্মীদের থেকে বেশি। এবং তাঁরা পরিবারসহ বেশি সময়ের জন্যে নিযুক্ত হবেন।