বাংলাগানের ছন্দে পা মিলিয়ে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন করেছে বাংলাদেশের নৃত্যানুরাগীরা। আয়োজক বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা।
‘আমার নূপুরের ধ্বনি ছড়াক মানবতার বাণী’ প্রতিপাদ্য করে গত ২৩ এপ্রিল থেকে শিল্পকলা অ্যাকাডেমির চিত্রশালা প্লাজায় সপ্তাহব্যাপী গুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই সংস্থ।
সোমবার আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উদযাপনের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
নৃত্য দিবসের অনুষ্ঠানে, দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পীদের পাশাপাশি সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী শিল্পীদের ভির জমে। বিভিন্ন শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনায় জমজমাট হয়ে উঠে অনুষ্ঠানটি।
এদিন ‘তুমি মঙ্গল করো হে’ মঙ্গল নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের।
‘চর্যাপদে নৃত্যের ছন্দ’ শীর্ষক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয় অ্যাকাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৃত্যশিল্পী ও গবেষক অধ্যাপক নিগার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী দীপা খন্দকারকে নৃত্যগুরু মাতা রাহিজা খানম ঝুনু স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
উল্লেখ্য, ব্যালে নৃত্যের স্রষ্টা জ্যঁ জস নুভেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৮২ সালে তাঁর জন্মদিনে ইউনেসকো ২৯ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে। আইটিআই ও ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কমিটি ১৯৮২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন শুরু করে।
বাংলাদেশে নৃত্য দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে ১৯৯৫ সাল থেকে।