ঢাকা: প্রেমের টানে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশের Bangladesh দক্ষিণ জনপদ জেলা বরিশালে গিয়ে ছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের uttar pradesh এক যুবক। কিন্তু হরিশে বিষাদ।
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসার দুই দিন পর মারা গেছেন জাভেদ খান (২৯) javed khan নামের ওই যুবক। বরিশাল barishal শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়- শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে ১০ অক্টোবর দুপুর থেকে জাভেদ শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
কিন্তু বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ওই যুবকের নাম জাভেদ খান javed khan। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের Uttar Pradesh হাসানপুরের বাসিন্দা।
জাভেদ খানের প্রেমিকা বরিশাল barishal নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা তুজ-জোহরা খুশি বলেন, সোমবার রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে জাভেদ শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
আজ ভোর রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জাভেদের পরিবারকে জানিয়েছি। মৃত্যুর খবরও জানানো হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর বরিশালে barishal এসে নগরীর কাটপট্টি সড়কের হোটেল এ্যাথেনার একটি কক্ষে ওঠেন জাভেদ খান javed khan।
ওই হোটেলের অভ্যর্থনাকারী মো. সাব্বির জানান, জাভেদ খান javed khan নামে ভারতীয় ওই নাগরিক ৯ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে হোটেলের ৪১০ নম্বর কক্ষে ওঠেন।
বন্ধু পরিচয় দিয়ে এক তরুণী হোটেল কক্ষে তার (জাভেদ) সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর বিকেলে তিনি হোটেলের কক্ষটি ছেড়ে দেন।
বুধবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। বরিশাল barishal মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম মিডিয়াকে জানান, জাভেদ খান javed khan ৯ অক্টোবর সকালে বরিশালে barishal আসেন।
১০ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে তিনি শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার ঢাকায় dhaka নেওয়ার পথে জাভেদ খান মারা যান। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে জাভেদ খানের মরদেহ শেবাচিম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বিষয়টির তদন্ত চলছে। শেবাচিম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রিফাতুল হায়দার জানান, জাভেদ খানের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এরআগে প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে এসেছিলেন তামিলনাড়ুর নাগরিক প্রেমকান্ত।
প্রেমকান্তের দাবি ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে তালতলী উপজেলার টিঅ্যান্ডটি রোডের বাসিন্ধা ও বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজে একাদ্বশ শ্রেণির প্রথমবর্ষে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে টানা তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এক পর্যায়ে শুধু মেয়ের সঙ্গে প্রেম নয়, সুসম্পর্ক গড়ে উঠে দুই পরিবারের মধ্যেই।
আর তাই ফোনের মাধ্যমে নয় মনস্থির করেন ভালোবাসার মানুষটিকে সরাসরি একনজর দেখবেন তিনি। এরপর তামিলনাড়ু থেকে প্রথমে বাংলাদেশের বরিশাল শহরে ও পরে তালতলীতে যান তিনি।
প্রেমকান্ত জানান, বরিশালে আসার পর ওই শহরের বসে দেখাও মেলে তার প্রেমিকার সঙ্গে। আর এরপরই প্রেমকান্তের প্রেম নতুন এক দিকে মোড় নেয়। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন তার অজান্তেই তালতলী উপজেলা ছাত্রলিগের এক নেতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তার প্রেমিকা।
আর এরপরই হঠাৎ প্রেমিকা ও তার পরিবার বন্ধ করে দেয় সকল প্রকার যোগাযোগ। এমনকি প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের হাতে মারধরও খেতে হয় তাকে। পরে অবশ্য তিনি ভারতে ফিরে গিয়েছেন।