ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পাঠাতে দিল্লি বাংলাদেশের (Bangladesh)প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে পণ্য রাখার জন্য বিশেষ জায়গা বা ইয়ার্ড চেয়েছে।
ভারতের যেকোন প্রান্ত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হয়ে পণ্য পাঠানো সময় সাশ্রয়সহ খরচও কম বলে সংশ্লিষ্টমহল উল্লেখ করেছেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এমন সুবিধা চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক অধিবেশনে এমন সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং বাংলাদেশকে (Bangladesh) এই অনুরোধের কথা জানান।
তবে ঢাকা বলছে, কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি চট্টগ্রাম (chottogram) বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম (chottogram) বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান মিডিয়াকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে অফিশিয়াল বা আন অফিশিয়াল কোনো প্রস্তাব পাননি।
ভারত এমন সময় এই প্রস্তাব দিল যখন ভারত-বাংলাদেশ (India – Bangladesh) চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট চালান পাঠানো কেবল এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সময় ভারতও বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রানজিট সুবিধার প্রস্তাব দেয়।
অর্থাৎ ভারতের সমুদ্র, স্থল ও নৌপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই প্রস্তাবের অবশ্য এখনো কোনো চুক্তি হয়নি।
উন্নত বন্দরে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নির্বিঘ্ন করার জন্য নির্ধারিত স্থান বা ইয়ার্ড রাখা হয়। যেখানে শুধু সেই পণ্যই থাকে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কেউই এখনো সেই ডেডিকেটেড ইয়ার্ড রাখেনি।
কারণ এখনো পরীক্ষামূলক চালান চলছে। পুরোদমে শুরু হলে নির্ধারিত ইয়ার্ড থাকবে। পানগাঁও বন্দরে ভারতের ট্রানজিট পণ্য নৌপথে আসায় সেখানে পৃথক স্থান রাখা আছে।
এখন ভারত সেই স্থান রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কি না বন্দর ব্যবহার কারীদেরও কেউ অবগত নন।
এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি (পোর্ট অ্যান্ড শিপিং) কো-চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক শাহ বলেন, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড ফ্যাসিলিটি আছে সেটি আগে থেকেই বন্দর বলে আসছে।
এখন পুরোদমে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহন শুরু হলে সেই অনুযায়ী স্থান বরাদ্দ রাখতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা বন্দর এবং বে টার্মিনাল চালু হলে অবশ্যই প্রতিবেশী দেশের কার্গো ভলিউম অনেক বেড়ে যাবে।