ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অহরহ ঘটে চলেছে ভীতিকর সমস্ত ঘটনা। পাচারকার্য থেকে শুরু করে গোলাগুলি, অবৈধ অনুপ্রবেশ। চোরাকারবারিরা এখন আর নিধিরাম সর্দার নয়। তাঁরা রীতিমতো মারণাস্ত্র নিয়ে তবেই কাজে নামছে।
সীমান্তের এসমস্ত সন্ত্রাসী কারবার রোধনিয়ে ভারত-বাংলাদেশ এবার এই ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে মৈত্রী সীমান্তে রূপান্তরিত করা হবে। সীমান্ত থেকে সব রকম অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্যে সীমান্তকে নিরাপদ স্থান রূপে চিহ্ণিত করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া চিকিৎসা, পর্যটন এবং ভিসা ব্যবস্থা সরলীকরণ করা হবে। এ বিষয়ে একমত হয়েছে এপার-ওপার বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সীমান্তের পরিকাঠামো সংক্রান্ত যেসব বিষয় এখনো অর্ধসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো শীঘ্রই সম্পন্ন করার বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গাদের নিজের দেশ মায়ানমারে পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতেও রাজি ভারত।
বুধবার সচিব পর্যায়ের এক বৈঠকে দু-দেশ যৌথ বিবৃতিতে সম্মতি প্রকাশ প্রকাশ করেছে সীমান্ত বিষয়ে।