ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) বেশ কয়েকটি গোপনাঙ্গ কর্তনের শিকার স্বামীরা। অনেক সময় স্বামী সন্দেহের শিকার হয়ে স্ত্রীর হাতে গোপনাঙ্গ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।
এবার ঢাকার (Dhaka) অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে দিয়েছেন স্ত্রী আফসানা আক্তার।
ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আহত স্বামী শাহারিয়ার সোহেলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় Sheikh Hasina জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সোহেলের মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আফসানাকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত আফসানা গণমাধ্যমকে বলেন, অন্য মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে আমার স্বামী। বাসায় এলে ফোন বন্ধ করে রাখে। প্রায়ই বন্ধুর বাসার কথা বলে দুই থেকে তিন দিন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
পরকীয়ার কথা বললে আমাকে মারধর করতো। অনেক বুঝানোর পর কাজ হয়নি। আমাকে মারধর করেছে। পরে রাগের মাথায় আমি কী করেছি বুঝতে পারিনি।
হালিম ও তার স্ত্রীর মতো বৈবাহিক সম্পর্কগুলোতে এমন সন্দেহ ও তার প্রতিক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।
স্বামী বা স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত প্রেম বা শারীরিক সম্পর্কের জেরে এসব কাণ্ড বেশি ঘটলেও ঝগড়াঝাটির মতো ঠুনকো কারণও কম দায়ী নয়। এর পাশাপাশি পারিবারিক বিরোধসহ নানা কারণও আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধ পরকীয়া সমর্থন করে না। ফলে স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা পরস্পর জেনে গেলে কিংবা সন্দেহ হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা অন্য কারও কাছে বলতে পারেন না।
এতে নিজে থেকেই এক ধরনের উৎকণ্ঠা ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়। ফলে ঘটে যায় স্পর্শকাতর অঙ্গ কেটে নেওয়ার ঘটনাও।
এর আগে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নাদিয়া ইশরাত শিলা (২৫) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার নাওডোবা এলাকার মৃত ইউসুফের মেয়ে।
তিনি স্বামী মো. রিপনের (৩০) সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির সিআই খোলা এলাকার বাদশার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাতে রিপন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার পরনের লুঙ্গি ভেজা এবং তার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তার স্ত্রীও রুমে নাই।
দ্রুত রুমের লাইট জ্বালিয়ে দেখেন, তার গোপনাঙ্গ কাটা ও বিচ্ছিন্ন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শিলাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
উত্তরের জনপদ জেলা কুড়িগ্রামে স্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ঘোরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়া অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত স্বামীকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এ কাণ্ড জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামে। এক বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের কলহ চলে আসছিলো।
গত শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় তা নিরসন হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান স্বামী। শ্বশুরবাড়িতে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন।
সন্ধ্যার দিকে স্ত্রী ব্লেড দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন। এসময় তার চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে গিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে।
আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে করায় ঢাকার ওয়ারীতে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটার মামলায় গ্রেপ্তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।নার্গিস পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী নাইট গার্ডের কাজ করেন।
ধোলাইখাল এলাকায় থাকেন। তাদের এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী গোপনে আরেকটি বিয়ে করছেন, তাই তিনি রেগে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।