ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও চুরির পর আগুন জ্বলল।
এসব কাণ্ডের অভিযোগে অজ্ঞাত প্রায় ১২শত জনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, উপজেলার খোদাতপুর (চুনিয়াপাড়া) গ্রামের হায়দার আলীর সঙ্গে ওমর ফারুকের ২৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
গত ২৫ জানুয়ারি হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৪) ও ভাতিজা রাকিব (২২) মোটরবাইকযোগে ওমর আলীর বাড়ির পার্শ্বে তাদের গভীর নলকূপের ঘরের নিকট যায়।
এ সময় রাস্তার অপর পাশে বসবাসরত ওমর আলীর তার ছেলে সামিরুল (২০) ও তার স্ত্রী মোমেতাসহ ৫-৬ জনের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে আক্রান্ত হয়। ফলে মোটরবাইকে থাকা মোনোয়ার হোসেন মিমকে স্থানীয় লোকজন আহতদেক ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ও আহত রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।
এনিয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- ওমর ফারুক, তার স্ত্রী মোমেতা বেগম ও পুত্র সামিরুল। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে কবর দেওয়ার পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ওমর আলীসহ আশপাশে চর এলাকা থেকে আগত প্রায় শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এবং গরু-ছাগলসহ ব্যাপক মালামাল লুটপাট করে।
ঘোড়াঘাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভুট্টো জানান, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য তাকে সভাপতি করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞতনামা ১২শ জনের নামে মামলা হলেও আসামিরা সবাই বাড়িতে আছেন। আমরা একটা সমাধানের চেষ্টা করছি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির জানান, দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট সদর ইউনিয়নের এক গ্রাম পুলিশের সদস্য বাদী হয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও চুরির একটি মামলা দায়ের করেন।