ঢাকা: শীতে কাঁপছে Bangladesh। Bangladeshর উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা ওঠানামা করার সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও।
শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে অগ্নিদগ্ধ ও মৃত্যু কাণ্ড। এতে করে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত এক সপ্তাহে rangpur মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে তিন শতাধিকের বেশি রোগী।
ভর্তি হওয়া এসব রোগীর মধ্যে সাতদিনে ১৫ শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবার বয়স ১ মাস থেকে চার বছরের মধ্যে। এছাড়া শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ দুই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছা. শিখিলী খাতুন জানান, এবার কোল্ড ডায়রিয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০টি শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। শুধু রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এমন চিত্র নয়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Rangpur জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন মনে হচ্ছে, তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মঙ্গলবার রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আফরোজা (৩৭) ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়া (৬৮) নামের দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ ৩৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রংপুর অঞ্চলে ১৩ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বুধবার রংপুরে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ২, রাজারহাটে ১১ দশমিক ৫, ডিমলায় ১২ দশমিক ১, দিনাজপুরে ১২ দশমিক এবং তেঁতুলিয়াতে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের পূবের জেলা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গত দিনে এখানকার তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি থাকলেও আজ তা বেড়ে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গলে আকস্মিকভাবে তাপমাত্রা নেমে যাওয়াতে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে কনকনে ঠাণ্ডা বিরাজ করছে।শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আধিকারিক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আরও কয়েক দিন এ আবহাওয়া থাকতে পারে।