শুধু পাপিয়াই নয়, যুব মহিলা লীগেও শুদ্ধি অভিযান চালানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার করে নানা অপকর্মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি আওয়ামি লীগ নেত্রীর।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের ওপর।
অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি কাউকে ছাড়ব না। খুঁজে খুঁজে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নাজমা আকতার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের এমপি এম আবদুল লতিফ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ঝুমু ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন।
শেখ হাসিনাকে যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী জানান, “নেত্রী আপনি সব জানেন। আমরা সংগঠনের ভাবমূর্তিটা ধরে রাখতে পারলাম না। এখন আমাদের করণীয় কী? আপনি যে নির্দেশ দেবেন, আমরা তা-ই করব।”
এমন বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “তোমরা সংগঠনের নেতৃত্বে আছ। কে কোথায় কী করছে তার খবর রাখতে হবে। এক শ্রেণির লোক সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ন করে চলেছে। তাহলে তোমাদের সংগঠনের প্রতি দায় কোথায়? তোমাদের খোঁজখবর রাখা উচিত ছিল। শুধু একজন পাপিয়াই জড়িত নয়, এ ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত। তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি এবং ক্ষুব্ধ স্বরে আরো বলেন, “কারা কী করছে সব তথ্য আমার কাছে আসছে। অনেকের নাম এসেছে। আমি কাউকে ছাড়ব না।” “পাপিয়া কোথা থেকে এতো এতো টাকা পেল, সে উৎস কোথায়, সমস্ত খোঁজ নেওয়া চলছে।”
উল্লেখযোগ্য যে, অস্ত্র, মাদক এবং জাল টাকার মামলায় গ্রেফতার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার চলছে ১৫ দিনের রিমান্ড।