মানবপাচারকারীতে ভরে গেছে সারা বাংলাদেশ । ফের কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণ গেল তিন মানবপাচারকারী ।
কুকার্যে জড়িত তিন মানবপাচারকারীর নামঃ টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়ার কোরবান আলী (৩০), আব্দুল কাদের (২৫) , আব্দুর রহমান (৩০) ।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের সময় রাত ২ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ উপজেলার মহেশখালীয়া পাড়ায় বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তিনজনই মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি ।
বহুদিন ধরেই তাঁরা গা ঢাকা দিয়ে ছিল ।
কিন্তু কতদিন !
সোমবার এক গোপন সূত্রের সংবাদের ওপর ভিত্তি করে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায় ।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আক্রমণ চালায় আসামীরা । আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে । সেখানেই মারা গেছেন তিন আসামী ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২০ রাউন্ড গুলির খোসা ।
পুলিশের তৎপরতা এভাবে বজায় থাকলে দেশের মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে ।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘মানবপাচার ২০১৯’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, বাংলাদেশের নারী এবং শিশুরা মানবপাচারের ক্ষেত্রে সবচাইতে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ।
পাচারকারীরা বিভিন্ন ভাবে ছলে-বলে-কৌশলে চাকরি পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে লেবানন, জর্ডান, সিরিয়াসহ কয়েকটি দেশে পাচার করে দিচ্ছে । তাঁদের যৌনকর্মে লিপ্ত করাচ্ছে ।
লোকগুলোর মধ্যে কোনধরণের সজাগতা না থাকার জন্যে সহজেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে নিজের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে । কেউ-কেউ নিজের দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হলেও অধিকাংশই মৃত্যুবরণ করছে ।