ঢাকা: বাংলাদেশের আশরাফুল হোসেন ওরফে Hero Alom। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে ভোটে হেরেছেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনকে পরাজিত করেছেন মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (ডানে) আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে জামানত হারাতে যাচ্ছেন বগুড়া-৬ আসনে। বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন Hero Alom।
ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতেও যাওয়ার কথা বলছেন তিনি। নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ভোটের পরদিন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন Hero Alom। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক পেয়েছিলেন Hero Alom।
বৃহস্পতিবার সিইসি টেলিফোনে বগুড়া জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে এ নির্দেশ দেন। সহকারী রিটার্নিং আধিকারীক মাহমুদ হাসান বলেন, বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নজরে আসার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশ পাওয়ার পর নন্দীগ্রাম উপজেলার সব কটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে প্রাপ্ত ফলাফল পুনর্যাচাই করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব শতভাগ নির্ভুল আছে।
প্রয়োজনে হিরো আলম কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল নিয়ে যাচাই করতে পারেন। হিরো আলম বলেছেন, ভোট চুরি হয়নি, লজ্জাজনকভাবে ফলাফল চুরি হয়েছে। বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন হিরো আলম।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে হিরো আলম ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলছেন। এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘অভিযোগ তো করলেই হবে না, তা প্রমাণ থাকতে হবে। তাঁর কাছে কী প্রমাণ আছে?
আদালতে কেউ রিট করতেই পারেন, তবে তা প্রমাণ করতে হবে। দুই আসনে একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। একটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সদরে তো জামানত হারালেন।