নয়াদিল্লি: ‘IF ALL MEN ARE BORN FREE, HOW IS IT THAT ALL WOMEN ARE BORN SLAVES?’
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসরিনের (Taslima nasrin) আজ (২৫ আগস্ট) জন্মবার্ষিকী। নাসরিন (Taslima) অত্যন্ত খোশমেজাজে রয়েছেন। তবে আজ বলেই নয়, দীর্ঘ সংগ্রামের পরও তাঁকে কেউ কোনদিন ক্লান্ত হতে দেখেননি।
কারণ যাঁর জীবন গড়েই উঠেছে সংগ্রামের জন্যে, তাঁর আবার ক্লান্তি কিসের? ক্লান্তি, অবসাদ তো তাঁদের আসে যাঁরা প্রতিনিয়ত বাস্তব পরিস্থিতি থেকে সরে গিয়ে সম্মান নষ্ট হবার ভয়ে গা বাঁচিয়ে চলেন!
বাংলাদেশ (bangladesh) থেকে নির্বাসিত হয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গেও (west bengal) বিরোধ, এ নিয়েই নিজের লেখার মাঝে ডুবে আছেন তসলিমা। কিন্তু বর্তমান সময়ও কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝেই স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন মাতৃভূমির জন্যে।
তবে একটি মাত্র জীবনে মানুষের যে দেশেই হোক না কেন, কাটিয়ে দিতে পারেন। সে জন্যে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তসলিমার (Taslima nasrin)। জন্মভূমি তো তাঁকে টানে অবশ্যই, সংবাদ মাধ্যমের এক- একটি সাক্ষাৎকারে ময়মনসিংহের কথা জিজ্ঞেস করলে চোখ দুটো সঙ্গে সঙ্গে নস্টালজিক হয়ে পড়ে। বলে চলেন একটানা বাড়ির সেই নারকেল গাছের কথা।
তিনি (Taslima) সাক্ষাৎকারে বারংবার একটা কথা উল্লেখ করেন যে, নিজের অধিকারের জন্যে আজীবন তিনি লড়ে যাবেন।‘আমি কি পেলাম না পেলাম, সেটা বড় কথা নয়। হয়তো লাভ না করার পাল্লাটাই ভারি। কিন্তু আমার যা ন্যায্য অধিকার তা থেকে আমি কেন বঞ্চিত হবো?’ তসলিমা (Taslima) আসলে সেদিকেই চোখ ফেরাতে চাইছেন।
লেখক তসলিমা নাসরিনের (Taslima) লেখা আমাদের প্রশ্ন করতে শেখায়। শেখায় সমাজে পরিবারে কেবল পুত্র সন্তানই কেন বংশের প্রদীপ হবে? নারী সেখানে কোন দোষে দোষী?
তসলিমার (Taslima) তীক্ষ্ণ কলম আমাদের এগুলো ভাবতে শেখায়। শেখায় আত্মবিশ্লেষণ। কোথাও লেখা নেই, সন্তানকে কোলেপিঠে মানুষ করা, রান্না করা, ঘরের কাজ করা কেবল মেয়েদের কাজ! অপরদিকে অফিস করা, বাজার-হাট করা, ঘুড়ি ওড়ানো কেবল পুরুষের কাজ?
চাইলে সকলেই সবকিছু করতেই পারেন। বাধা কোথাও? কন্যাভ্রুণ হত্যা এপার-ওপার বাংলায় এখনো সঙ্গোপনে সংঘটিত হয়ে চলেছে।একবিংশ শতাব্দীতেও স্ত্রীকে নেড়া করে চলছে অকথ্য অত্যাচার, চলছে গোপনে গোপনে বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ! এগুলোর জবাব কে দেবে?
সবকিছুর মাঝে আজ তসলিমার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন লেখক!