বাংলাদেশে ঘটছে একের পর এক শিশু নির্যাতনের ঘটনা।
এবার চলন্ত ট্রেনে এক যুবকের যৌনলালসার শিকার হল এক শিশুকন্যা।
ঘটনাটি বুধবার রাতের।
বাংলাদেশের সংবাদ অনুযায়ী, ঢাকার কমলাপুরে রেলস্টেশনে ট্রেনের ভেতরে আনুমানিক ১২ বছরের এক শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সম্রাট (২০) নামে যুবক।
চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে যাত্রীরা। পরে তারাই অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশে সমঝে দেয়। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে সম্রাট।
জানা গেছে, সম্রাটের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। সে কমলাপুর রেলস্টেশনে ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে।
অন্যদিকে, শিশু-কন্যার বাড়ি শরীয়তপুরে। ঢাকার মানিকনগরে সে এক আত্মীয়র সঙ্গে থাকে ও একটি স্কুলে পড়ে। সেই আত্মীয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার বিকেলে হাসপাতালের নিচে নামে মেয়েটি। সেখান থেকে তাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সম্রাট ফুঁসলিয়ে কমলাপুর নিয়ে যায়। সে মেয়েটিকে বলে, তেজগাঁও স্টেশনে তারা ট্রেন থেকে নেমে যাবে। এরপর কমলাপুরে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে আটকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
শিশুটির চিৎকার শুনে ট্রেনের যাত্রীরা তাঁকে উদ্ধার করে বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেন থামলে অভিযুক্ত সম্রাটকে আটক করে পুলিশে সমঝে দেয় যাত্রীরা।
মেয়েটিকে, বুধবার রাতে প্রথমে বিমানবন্দর থানা-পুলিশে ও পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। রাতে মামলার পর মেয়েটিকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে তার মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।