ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যতে নামিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তারা এ হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপও নিয়েছে। তবুও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়ে নয়াদিল্লিকে বার্তা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আবুধাবি সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে একাধিক বৈঠকে সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামাতে একাধিকবার ঘোষণাও দিয়েছে ভারত।
সব শেষ শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাবুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
এই ঘটনার তিন দিন আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপানবাবগঞ্জের জোহরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহতের খবর আসে গণমাধ্যমে। নিহত দু’জন হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামের এনামুল সরকার বুদ্ধর ছেলে সেলিম ও শফিকুলের ছেলে সুমন।
সীমান্তে হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন নাগরিকও যেন হত্যার শিকার না হয়, সেটি আমরা ভারতকে জানিয়েছি। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য ভারত সম্মতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তারপরও এমন ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এরইমধ্যে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে আমরা নয়াদিল্লিকে বার্তা জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকালে চার দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দূতদের আগামী দিনের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিতে ১৪ জানুয়ারি দূত সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।