সারা বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছে। এই জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনা সরকার এবার কোনরকম সহানুভূতি দেখাবেন না জানিয়ে দিয়েছেন। জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, অর্থায়ন এবং অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনস সিএফআর-এ বুধবার বিকেলে ‘এ কনভারসেশন উইথ অনারেবল প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাস এবং উগ্র চরমপন্থা দুটো গ্রাস করে ফেলছে। শীঘ্রই এগুলো বন্ধ করার জন্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন মাননীয়া।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন এদিন।
# সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের যোগান বন্ধ করা হবে।
# তাদের সবরকম অর্থের যোগান বন্ধ করতে হবে।
# সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে
# আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে দু-পক্ষের জন্য সমান সুবিধাজনক পরিস্থিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
এছাড়া শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন সম্বন্ধেও কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, “প্রশাসন, রাজনীতি, স্থানীয় সরকার, সামরিক বাহিনী, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এমনকি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশের নারীরা সাফল্যের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছে।” তবে ভাল করে বিচার করলে মন্ত্রীসভা কিংবা পুলিশ বাহিনীতে দেশের নারীরা যদিও রয়েছেন, কিন্তু বাংলার নারীদের যথার্থ উন্নতি এখনো হয়নি।
সর্বদিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে চাইলে অবশ্যই নারীর সুন্দর ও পুরুষের আধিপত্বহীন একটি জীবন প্রয়োজন।