বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম এবং সিলেটে পূর্বাবস্থাতেই রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি ।
সিলেটের নদ-নদীর জল রাস-বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে । সুরমা-কুশিয়ারা কোনও কোনও পয়েন্টে জল বৃদ্ধি পেয়েছে আবার কোনও কোনও পয়েন্টে কিছুটা কমেছে।
জল উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সুরমা নদীর জল বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৬ টার নাগাদ বিপদসীমার ১ দশমিক ১২ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে চট্টগ্রামের অবস্থাও বেগতিক । মানুষের অবস্থা বেহাল । হাট-বাজার, পড়াশুনা সমস্ত কিছু বন্ধ । এমনকি অসুস্থ আত্মীয়দেরও একটু চোখের দেখা দেখতে যেতে পারছেন না চট্টগ্রামবাসী ।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাতারগঞ্জ এলাকার নিবাসী শিক্ষক আদনান মান্নান বন্যার জন্যে অসুস্থ দিদাকে দেখতে যেতেও অসমর্থ হয়েছেন । তিনি পাশেই অন্য একটি ভবনে বাস করেন ।
বন্যার এই শাস্তি থেকে জনগণকে স্বস্তি দেবার জন্যে সরকার পক্ষ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল । কিন্তু কোন কাজই এখন অবধি সুষ্ঠুভাবে করা হয়নি ।
সড়কের পাশে খালের গভীরতা বৃদ্ধি না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে এলাকা । ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের ।