বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাহাড়ি এক বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মরিচ্যা ঘোনা এলাকায় দুই পাহাড়ের পাদদেশে বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই হাতির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাবারে সন্ধানে পানখালীর খন্ডা কাটাহাতি এলাকা হতে মরিচ্যা ঘোনা এলাকায় যাওয়ার পথে দুই পাহাড়ের পাদদেশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সংযোগ লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় হাতিটি। ভোরবেলা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে হাতির মৃতদেহ দেখতে পেলে দ্রুত প্রশাসনকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক মাহমুদ বলেন, টেকনাফের বিদ্যুৎবিভাগ অবৈধভাবে পাহাড়ের ভিতরে বনাঞ্চল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগের সাথে সমন্বয় না করে নিয়মবহির্ভূত বনাঞ্চল এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করায় পাহড়ি বণ্যপ্রাণী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মৃত হাতির সৎকারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, উখিয়া-টেকনাফে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরনার্থী বসবাসের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সবুজ অরণ্য। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য। যার কারণে পাহাড়ি প্রাণীর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় খাদ্যের সন্ধানে পাহাড়ি জীবজন্তু লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে।