পবিত্র ঈদুল আজহারের মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করতে হবে প্রতিজন ইসলাম ধর্মালম্বীদের। নিজের তিল তিল সু-কার্যের মাধ্যমে গড়ে তুলবে হবে বৈষম্যহীন, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এ বার্তা প্রেরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাসিনা এক বলেন, ‘শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদুল আজহা। তাই আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
ত্যাগই জীবন,ভোগ নয়। কিন্তু সে ত্যাগ যেন কখনো হিংসা, প্রতিহিংসা,হানাহানির মাধ্যমে না হয়। রক্ত ঝরার মাধ্যমে ত্যাগ আসে না।
বাইরে চাকচিক্য অথবা ত্যাগের বর্ম পরিধান করলাম, অথচ অন্তর আমার কলুষিত! সে ত্যাগ চায় না দেশ। দেশ চায় মানুষ। যে মানুষ জাতিধর্ম নির্বিশেষে নির্মাণ করবে, কেবল নির্মাণ করবে সুস্থ সমাজ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। এই উৎসর্গের মূল অর্থ অনুধাবন করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ সমাজে এগিয়ে চলুন, এই কামনা করেন তিনি। “সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। কোন ধর্মই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সমর্থন করে না। কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক”।