ডেডলাইনের দু-দিন পূর্বেই আত্মসমর্পণ করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
জামিন পেলেন শান্তির নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভিনের আদালতে ইউনিস আত্মসমর্পণসহ জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ আগামি ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
তবে তিনি যেন ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণ করতে পারেন সেজন্যে ইউনিসকে হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকে।
‘ক্ষুদ্রঋণের জনক’ মুহাম্মদ ইউনূসের গড়া একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া শোধ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের এক তৃতীয়াংশ শেয়ারের মালিক গ্রামীণ টেলিকম৷ এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির লাভের অংশ কর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি৷
উক্ত ঘটনার শিকার হওয়া ৩ জন কর্মচারীর হয়ে প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম এবং সদস্য এমরানুল হক বিগত ৩ অক্টোবরে শ্রম আদালতে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় ড০ ইউনিসের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনিন সুলতানা এবং উপ মহা প্রবন্ধক খণ্ডকার আবু আবেদিনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এদিকে ৯ অক্টোবরে বাকি দুজন আদালতে উপস্থিত হলেও ড০ ইউনিস বিদেশে থাকার জন্যে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, শুনানি শেষে সেদিনই, ৯ অক্টোবর ঢাকার শ্রম আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।