ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ডলার সঙ্কটে আমদানির এলসি খোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ব্যাংক। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও এলসি খুলতে অপারগতা প্রকাশ করছে ব্যাংকগুলো।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় থেকে আসা ডলার দিয়েও নিজেদের আমদানি দায় এবং গ্রাহকদের বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, ২-৩ লাখ ডলারের এলসি খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতিতে এলসি খুলতে গ্রাহকরা ব্যাংকের চেয়ারম্যান- এমডিদের কাছে তদবিরও করছেন। তবে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন।
এছাড়াও বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য নতুন স্টুডেন্ট ফাইল খোলা বন্ধ রেখেছে ব্যাংকগুলো। এতে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
এতে করে শিল্পের উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানিও কমে গেছে। শিল্প স্থাপনের নতুন প্রকল্প, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও সংস্কারের নতুন তেমন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
Bangladesh ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন,ডলারের কিছু সঙ্কট থাকলেও এলসি খোলা বন্ধের কোনও নির্দেশনা দেয়নি Bangladesh ব্যাংক।
সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো পণ্যের বিপরীতে এলসি খুলছে। গত ১০ দিনে ৫৫টি ব্যাংক পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। তবে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডলার সঙ্কটের কারণে সাময়িকভাবে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা বন্ধ রাখা হয়েছে।