ঢাকা: বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন।
নানা পদক্ষেপ নিয়েও বাংলাদেশে ডেঙ্গুর তাণ্ডব রোখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে ২৯ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ২০ লক্ষ আইভি ফ্লুইড স্যালাইন কেনার অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ-সহ শহর এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক । চলতি বছরের ৯ মাসে যেভাবে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর দাপট দেখা যাচ্ছে, তাতে অতিমারী করোনার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
২০০০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয় ডেঙ্গু। তখন শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
ডেঙ্গু এখন আর শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই, ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। যে কারণে গ্রামাঞ্চল থেকে ডেঙ্গু রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট মোতাবেক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেব থেকে বেসরকারি আরও বেশি।
কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। তাই পরিসংখ্যাণে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর বাংলাদেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।