বরগুনার রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনাতেই বাংলাদেশের দা চালনা শেষ হয়ে যায়নি। ক্ষুব্ধ, বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ সোনার বাংলাকে নরকে পর্যবসিত করেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মগবাজার এলাকার দিলু রোডে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দুষ্কৃতিদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন কন্যার পিতা। গুরুতর জখম হয়েছেন কন্যার মা।
নিহত ব্যক্তির নাম তুলা মিয়া (৫০)। ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে (৩৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত অনুযায়ী, প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউস নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। গুণ্ডা সজীব আহমেদ রকি (২৩) মত্ত অবস্থায় অতর্কিতে বিয়ের আসরে এসে হামলা চালায় মেয়ের বাবার উপর। আত্মীয়-পরিজনদের দাবি, রকি প্রায়ই তাঁদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার স্বপ্নাকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে উত্ত্যক্ত করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ে ঠেকাতেই মাতাল হয়ে রকি বিয়ে ভাঙতে আসে।
এদিকে ধৃত রকির দাবি, ১০ বছর ধরে স্বপ্নার সঙ্গে তাঁর প্রেমেরে সম্পর্ক রয়েছে। তারমানে কথানুযায়ী, রকির যখন ১৩ বছর, সে সদ্য কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্নাকে ভালবাসে!
স্বজনদের দাবি, রকির জন্যেই স্বপ্নার ৯ মাস আগে প্রথম সংসারটি ভেঙে যায়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বখাটে রকির ১ মাসের জেলও হয়েছিল। জেল থেকে বেরিয়ে ফের চড়াও হয়েছে স্বপ্নার বিয়ে ভাঙতে।
গ্রপ্তার রকির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুর রশিদ।