বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সমগ্র এশিয়ার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এদিকে বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশগুলো করোনার কাছে মাথা নত করে ফেলেছে, এখনো অবধি কোনপ্রকার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি, সেই ভয়ংকর জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে একাংশ নাগরিক ঈদকে সামনে রেখে দেদার বাজার করতে নেমে পড়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বারংবার সতর্ক করছেন, এ মুহূর্তে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংই হতে পারে একমাত্র করোনা প্রতিষেধক। এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।
কিন্তু ঢাকায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করেই ধাক্কাধাক্কি করে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে কেনাকাটা।
ধাক্কাধাক্কি করে দেদার জিনিস করা চলছে বাংলাদেশের রাজধানীতে। করোনা সংক্রমণে খেতে পাচ্ছে না মানুষ। রাস্তায় সাহায্যপ্রার্থী মানুষের ভিড়। বিতরণের জন্য সরকারি ত্রাণ রাস্তা থেকে লুট করে নিচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষ। এসব কিছুকে পাশ কাটিয়ে একাংশ অসচেতন জনগণ মনোযোগ দিয়েছেন ঈদের পোশাক কেনায়।
রাজধানীর মার্কেট খুলে দিতেই শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। সারা বিশ্বে চলছে মৃত্যুমিছিল। বাংলায় চলছে কেনাকাটার মিছিল! এ দৃশ্য সততই অবাক, এবং ভয়ানক।
দেশে করোনা আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে, এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৫০ জন মানুষ। এসব নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কারও।
ঢাকার গাবতলী এবং সাইনবোর্ড এলাকায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার বাস এবং গণপরিবহন ছাড়াও মহাসড়কে ধুমধামভাবে চলছে ইজিবাইক, রিকশা। যাত্রী পরিবহনকারী গাড়িগুলোতে শারীরিক দূরত্বের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে গন্তব্যে।
করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ১৬ হাজারেরও ওপর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় নিজের জীবনের চেয়ে ঈদ পালন করাটা কী অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে নাগরিকদের জন্যে? সচেতন নাগরিকরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার আপত্তি জানাচ্ছেন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের লাভের কথা চিন্তা করে সাধারণ মানুষের জীবন এভাবে মৃত্যুর দিকে এভাবে ঠেলে দেয়া উচিৎ হয়নি। শুধু তাই নয়, যেখানে সাধারণ জনতাও সজাগ নন, দিব্যি বাজার করার জন্যে বাচ্চা শিশুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন! যেখানে মানুষই সচেতন নন!