সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে, অন্যথা ভয়ংকর হয়ে উঠবে পরিস্থিতি। কিন্তু কোথায় কী?
চলছে রোজা মাস, নির্দিষ্ট শর্তাবলী মান্য করার শর্ত দিয়ে খুলে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের মসজিদ এবং শপিং মলগুলো। বাকিগুলোও প্রায় খোলার তোরজোড় চলছে। গতকালও ভয়াবহভাবে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন; স্বাভাবিকভাবে যাচ্ছেন শপিং মলে।
শুধু তাই নয়, ওপার বাংলার বহু জনগণ কোনপ্রকার লকডাউনের তোয়াক্কা করছেন না ! সচেতন-সতর্ক জনগণ এমন ঘটনাগুলোতে ভয়ানক চিন্তাগ্রস্ত।
বিশেষজ্ঞদের আশংকা সত্যি করে বাড়ছে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। এবং আগামি ২১ দিন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়ানক বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশে রবিবার মোট ৮৮৭ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত বিশ্বের গবেষকরা দিনরাত এক করে স্থায়ীভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে কোন ভ্যাকসিন বের করতে পারছেন না; যে সময় বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলো করোনার কাছে মাথা নত করে ফেলেছে, এতসব দেখে, শুনেও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কোনরকম সতর্ক হওয়ার লক্ষণ নেই!
শুধু তাই নয়, সার্স কোভ-২ যখন ক্রমান্বয়ে উর্দ্ধমুখী হচ্ছে, ঠিক এই বিপজ্জনক মুহূর্তে লকডাউন শিথিল করে দেয়া হয়েছে! আশ্চর্যজনকভাবে অধিকাংশ সরকারি স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোও খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। ইফতার বিক্রির অনুমতিও দেয়া হয়েছে!
দেশের একজন সচেতন নাগরিক জানাচ্ছেন, “এ যেন ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে নাগরিকদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া। ঈদের কেনাকাটা কী এতোই জরুরি? বেঁচে থাকলে অনেক তো ঈদ করা যাবে। একটু ধৈর্য না ধরলে মরতে হবে সকলকে। একজনের এই রোগ মানেই কয়েক পরিবারের অকাল মৃত্যু।”
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।