সেই ধর্ষক মজনুর বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
ঢাকার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় একমাত্র আসামি ছিল সে। যার স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক অবস্থান দেখে দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে পারেননি, যে এই মজনু ধর্ষণ করতে পারে!
ডিবির পরিদর্শক আবু বকর এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি মজনু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শারীরিক নির্যাতন করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এই ধর্ষণ মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি মজনুকে কারাগারে বন্দী রাখার আবেদন জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন।
এ অবস্থায় হঠাৎই অপরিচিত ব্যক্তি এসে মুখে চাপা দিয়ে নিরালা স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন চালায়। একসময় ওই তরুণী অজ্ঞান হয়ে যান।
গভীর রাতে তাঁকে ভর্তি করানো হয় ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)।
৬ জানুয়ারি নির্যাতিতার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মজনু রিমান্ডে ধর্ষণের সব ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে।