৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ভারতীয় সময় রাত দুটোর সময় চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা ছিল ভারতীয় মহাকাশ যান চন্দ্রযান ২। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকাকালীন পৃথিবীর সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরো পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ভারতের এই চন্দ্রযান বিফলতার জন্যে বাংলাদেশে রীতিমতো উৎসবের হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু কথায় আছে না, অন্যের সুখে সুখী এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া অতীব প্রয়োজন। নইলে সে বিপদের কুয়োয় নিজেই কখন অজান্তে প্রবেশ করে, বলা যায় না।
এমনই বিস্ময়কর এক ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। ভারতের বিফলতায় রেজাউল শেখ নামক এক ব্যক্তি নাচতে নাচতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পাড়ার দোকানে রাত্রি দুটোর সময় গরম রসগোল্লা খেতে গেছিলেন।
গরম রসগোল্লার অপেক্ষায় পরম ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। গরম রসগোল্লা আসে। সে রসগোল্লা মনের আনন্দে গিলতে গিয়ে গলায় রস আটকে যায় হঠাৎ। শুরু হয় প্রচণ্ড কাশি। একসময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনাই প্রথম নয়, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের পরাজয়ের আনন্দ অনুভব করতে গিয়/ ফিস্ট করতে গিয়ে গ্যাস ঢাকার এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন সিলিন্ডার বাস্ট করে।
মাঝখানে রয়েছে কেবল কাঁটাতারটি, কিন্তু এপার-ওপার বাংলার হৃদয় তো এক! শুধু তাই নয়, ভারত-বাংলাদেশের অনেক ভাল বন্ধু। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আওয়ামি লিগ নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে সু-সম্পর্ক রয়েছে। মোদি বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ শূন্য রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সে স্থানে বাংলাদেশের নাগরিকদের এমন অন্যায়, প্রতিশোধমূলক মনোভাব কেন? প্রশ্ন সেখানেই।
এপার বাংলা তথা ভারতের জনসাধারণের মুখে বাংলাদেশের প্রশংসা সবসময়। এমনকি দেশের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেটার শাকিবকেও প্রাণভরে ভালবাসেন। ভারত বাংলাদেশের কোন ক্ষতি চায় না। সেখানে শুধু শুধু বাংলাদেশ কেন এমন ভারত বিরোধী মনোভাব পোষণ করছে?