বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোকে টোলের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা সরকার।
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে নির্মিত ব্রিজ, সেতুর পর এবার মহাসড়কেও টোল গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, উন্নত দেশগুলোতে যেমন টোলের ব্যবস্থা রয়েছে, ঠিক তেমন ভাবেই ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা রংপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টোলের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসিনা আরো বলেন যে, এই টোলের মাধ্যমে আদায় করা সমস্ত টাকা একটি ভিন্ন ব্যাংকে জমা করা হবে। এবং সে টাকা ব্যবহৃত হবে মহাসড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে। এর জন্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আর টাকা দেয়া হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংস্কারের জন্য ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়।
গতকাল একনেক সভায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নির্মাণকার্যে খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। এই মহাসড়কের নির্মাণ কার্য শেষ হয় ২০১৬ সালে। মাত্র ৩ বছরে সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফের সংস্কারের প্রয়োজন হয়েছে। এতে খরচ হবে মোট ৭৯৩ কোটি টাকা। সভায় এই মোটা অংকের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়।
দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন,”এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যেন টেম্পারিং করতে না পারে। এটা সময়ের দাবি। কিন্তু এমন পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে যাত্রী থাকুক আর না থাকুক এর উপর দিয়ে গাড়ি গেলেই যেন গাড়ির নাম, নাম্বার, ওজনসহ বিস্তারিত তথ্য উঠে যায়।”