মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ কোনদিন ভুলতে পারবে না। আজীবন সে স্মরণ করবে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে।
শুক্রবার কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে ফের ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করলেন।
তিনি যোগ করেন, “আমরা কখনই তা ভুলব না। ভারত বাংলাদেশ থেকে এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।মুক্তিযু্দ্ধে আমরা ভারতের সরকার ও জনগণের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি, তা কখনও ভোলা যাবে না। সেজন্য আমরা ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের মানুষ কোনও দিন ভারতকে ভুলবে না। আমরা এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবো।”
“আমি মনে করি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এখন সেরা। আমরা আমাদের প্রতিবেশি দেশটির সাথে সুসম্পর্ক চালিয়ে যেতে চাই। আমরা এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবো।”
ইডেন গার্ডেনে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচটি দেখার জন্য শেখ হাসিনা কলকাতায় তিলোত্তমা কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন।
গোলাপি বলে ভারত-বাংলাদেশের টেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানো থেকে শুরু করে গৃহকর্ত্রীর মতো সমস্ত দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেন ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে এদিন বালুচরি স্বর্ণচরি শাড়ি এবং দু’টো শাল উপহার দেন মমতা।