ঢাকা: বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে একাধিকবার মর্টারশেল এসে পড়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মায়ানমারের (Myanmar) রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে (Aung Kyaw Moe) রবিবার ৪র্থ দফায় তলব বিদেশ মন্ত্রকে তলব করা হয়েছে।
পাহাড় অধ্যুষিত বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে চলমান গোলাগুলির ঘটনায় তাঁকে (Aung Kyaw Moe)তলব করা হয়। এদিকে মায়ানমার (myanmar) সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘও।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গিয়েন লুইস গতকাল শনিবার মিডিয়াকে বলেন,মায়ানমার থেকে মর্টার শেল এসে বাংলাদেশে পড়ায় এক ব্যক্তি নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবরে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয় উদ্বিগ্ন।
উত্তেজনা বা হতাহত এড়াতে রাষ্ট্রসংঘ সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছে।
মায়ানমারের (myanmar) রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
এতে এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের (myanmar) রাখাইন রাজ্যে আবার মুহুর্মুহু গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। প্রায় তিন দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর আবার গোলাগুলি শুরু হয়েছে।
মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে এপারের ভূখণ্ড। এতে এপারের ঘুমধুম ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে মায়ানমারের (myanmar) রাষ্ট্রদূতকে চারবার তলব করা হলো।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মায়ানমার থেকে ছোড়া একটি গোলা তুমব্রু বাজারের পাশে কোনারপাড়ার কৃষক শাহজাহানের বাড়ির আঙিনায় এসে পড়ে। বাড়ির পাশেই শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির।
এর আগেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়েছিল।