নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বাংলাদেশে এড়িয়ে গেলেও এবার সরাসরি মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আবু ধাবির একটি দৈনিককে প্রদান করা সাক্ষাৎকারে ভারত সরকারের সিএএ চালু করা সম্পর্কে হাসিনা পরিষ্কার বলেছেন “আমরা বুঝতেই পারছি না কেন ওরা এটা করল। এটা একদমই দরকারি ছিল না।”
উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও বলেছিলেন সিএএ–এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারত তাঁদের আশ্বস্ত করেছে এই বলে যে আইনি কারণেই তারা এটা করছে।
এবং তিনি একথা বারংবার স্বীকার করে আসছেন যে ভারত বাংলাদেশের এক নম্বর বন্ধু। এবং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সম্প্রতি এপার বাংলায় এসেও ফের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদানের কথা ফের স্বীকার করেছেন।
তবে নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বাংলাদেশ বা পাকিস্তান যতই আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, এ বিষয়ে যে তাঁদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তা স্বীকার করতেই হবে।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মঞ্চ থেকে সরাসরি নাগরিকত্ব আইন এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ইমরান খানের দেশ পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন। তিনি টানা বলে গেছেন, এই আইন ভারতে না নিয়ে এলে বিশ্ব জানতেই পারতো না যে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু অত্যাচার গত ৭০ বছরে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা শরণার্থীদের কোনভাবেই ঠেলে দিতে পারবো না। এবং এই আইনের সমর্থনে বহু মুক্তচিন্তকরা নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন।
নরেন্দ্র মোদি মঞ্চ থেকে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করলেও বাংলাদেশের নাম কখনোই উল্লেখ করেননি।
তবে বাংলাদেশ যে মনে মনে খানিকটা হলেও এ বিষয়ে পীড়িত হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। তবে বুদ্ধিজীবি মহল কিংবা রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মান যে হারে উন্নতির পথে যাচ্ছে, তাতে মনে হয় ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঘটবে।
মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “ভারত সরকার তাদের তরফে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে গত অক্টোবরে আমার ভারত সফরের সময় বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া।” তবে বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন জনসখ্যার মধ্যে ১০.৭ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বি হলেও ভারত থেকে বাংলাদেশে সরকারিভাবে কোনও দেশান্তর হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে স্পষ্ট করলেও ভারতে যে মানুষরা বহু সমস্যায় পড়েছেন সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।