ঢাকা: যৌতুকের টাকা তুলতে না পেরে শেষতক স্ত্রীকে ভারতের india পতিতালয়ে বিক্রি করে আটক হলেন স্বামীপ্রবর। এ কাণ্ড লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। স্ত্রীকে ভারতের india পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে মো. সোহাগ (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোহাগ সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের সফিক উল্যার ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পাঁচ মাস আগে সোহাগের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য সোহাগ স্ত্রীকে চাপ দেন।
এর মধ্যে বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়। পরে বেড়ানোর কথা বলে সোহাগ স্ত্রীকে ঢাকা নিয়ে যান। সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ড্রামে করে চোরাইপথে তাকে কলকাতায় Kolkata সোহাগের বোন সাহিদার কাছে নিয়ে যায়। সোহাগ দেশে চলে আসলেও স্ত্রীকে রেখে আসে। সহিদা সেখানকার একটি পতিতালয়ের সর্দার।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন চাপ দিলে সোহাগ জানায়, স্ত্রী তার বোনের কাছে রয়েছে। কিন্তু যোগাযোগের জন্য ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও সোহাগ তা দিচ্ছিল না।
ঘটনাটি সন্দেহ হওয়ায় ওই তরুণীর ভাই মো. জাহাঙ্গীর কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।পুলিশের চাপে নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে সোহাগ তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গৃহবধূ সুযোগ বুঝে গোপনে বাবার বাড়িতে চলে যান। স্বজনদের কলকাতার Kolkata পতিতালয়ে অমানবিক নির্যাতনের কথা জানান।ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তাকে কলকাতায় পাচার করা হয়।
সেখানে সহিদা নামে একজনের কাছে তাকে রেখে আসে। সোহাগের বোন সহিদা আমাকে তিনমাস অমানবিক নির্যাতন করেছে। দেহদানে রাজী না হলেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো।কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সোহাগকে আটক করা হয়েছে।