ঢাকা: বাংলাদেশে Bangladesh তিন সপ্তাহের জন্য মা ইলিশ hilsha রক্ষায় নিষিদ্ধ সময়ে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করে অথ আদায় করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে ফরিদপুরের faridpur গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পাড়ের কলাবাগান, অন্তারমোড় ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমান।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, ‘অভিযানে ইলিশ hilsha ধরার জন্য ওসমান মণ্ডল, সেলিম সরদার, নিজাম সরদার, বাচ্চু সরদার, ফজলু চৌধুরী ও ইউসুফ চৌধুরীকে নদী থেকে আটক করা হয়।
তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে জব্দ ১০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় মা ইলিশ hilsha রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় মা ইলিশ hilsha রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. পারভেজ হাসান।
পদ্মা নদী padma ও বিভিন্ন মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৭২ মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়। শনিবার রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ মৎস্যজীবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে ৩৫টি বড় নৌকা, আট লাখ মিটার জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ hilsha জব্দ করা হয়েছে। জব্দ ইলিশ hilsha এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর চরমোহনে মাছের অস্থায়ী আড়ত ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীতে কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ hilsha মাছ ধরার সময় প্রায় ৫০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ৪০ কেজি ইলিশ মাছসহ ৭ মৎস্যজীবীকে আটক করেছে।
রবিবার মধ্যরাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের নেত্বত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, মা ইলিশ মাছ শিকাররত অবস্থায় প্রায় ৫০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ৪০ কেজি ইলিশ মাছসহ ৭ মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়।
পরে জব্দকৃত ইলিশ স্থানীয় একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে এবং কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। চলবে ২৮ অক্টাবর অবধি।