পৌষ মাসের শুরুতে হঠাৎই বাংলাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদ শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চলমান শৈত্যপ্রবাহ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস নর্থইষ্ট নাওকে বলেন বলেন, ২১ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা নিচের দিকে নামতে থাকবে। এরপর তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে ২৫/২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি, যশোরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ও ডিমলায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ফরিদপুরে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।