ঢাকা: অশুভ শক্তিকে শোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শনিবার মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে দেবীর পূজা হয়েছে।
সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন ভক্তরা। এ সময় পূজারীরা প্রতিমার সামনে বসে মায়ের মুখ দর্শন করেন।
ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সব মন্দিরেই শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। এছাড়াও দিনব্যাপী চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলে বলে জানান সর্বজনীন পূজা আয়োজকরা।
যদিও দুর্গাপূজা শুরু হয় শুক্রবার থেকে, তবে দেবী আসার ঘণ্টা বেজে যায় মহালয়ার দিন থেকেই।
সনাতন ধর্ম মতে, যা কিছু দুঃখ-কষ্টের বিষয়, যেমন-বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ-শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। শাস্ত্রকাররা দুর্গা নামের অর্থ করেছেন-দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায়, তিনিই দুর্গা।
দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। এ বছর ভক্তদের কষ্ট দূর করতে দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর দশমীর দিন মর্ত্যলোক ছেড়ে যাবেন এই একই বাহনে।