ঢাকা: বাংলাদেশে শুক্রবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে বাংলাদেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ।
এবার সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকাতে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৪৬টি মণ্ডপে।
ঢাকঢোল, কাঁসা ও শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।
শুক্রবার সকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকে চণ্ডিপাঠে মুখরিত ছিলো ঢাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপগুলো।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা ও মহাপ্রসাদ বিতরণের পাশাপাশি ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, বস্ত্র বিতরণ, স্বেচ্ছা রক্তদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপ, গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদ মণ্ডপ, রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান, সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা, ভোলানাথ মন্দির আশ্রম, জগন্নাথ হল, ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, শাঁখারী বাজারের পানিটোলা মন্দির ও উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর এবং উত্তরখান ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে।
মহাষষ্ঠীর এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য আছে হিন্দু শাস্ত্রে। বছর ঘুরে দেবির মর্ত্যলোকে আগমনে খুশি হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা। হানাহানি দূর হয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক পৃথিবী আর বিনাশ ঘটুক অশুভ শক্তির-এমন প্রার্থনাই ভক্ত-পুণ্যার্থীদের।
প্রশাসনসহ দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগীতায় সুষ্ঠুভাবে পূজা উদর্যাপনে সবার সহযোগিতা আশা আয়োজকদের।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। রোববার মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে।
সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার দশমী পূজা শুরু সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে। পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।