ঢাকা: বাংলাদেশ রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এই বন্ধুত্বের ভিত্তি হচ্ছে সমতা ও সম্মান।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের কাছে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা পাবনা জেলার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে পুতিন আরও বলেন, ভবিষ্যতেও এই কেন্দ্রের সাথে থাকবে তার দেশ। ২০২৪ এ প্রথম ইউনিট ও ২০২৬ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেন তিনি।একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বড় পদক্ষেপ রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এরপরে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে রাশিয়া।
আজ থেকে পরমাণু স্থাপনার মর্যাদা পেল রূপপুর প্রকল্প। নতুন ইতিহাসে নাম লিখলো বাংলাদেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎখাতে নব দিগন্তের সূচনা হলো।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালিতে আরও যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। এ উপলক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্রাজুয়েশন সেরিমনির আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ইউনিটের জ্বালানি ‘ফ্রেস নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পৌঁছায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। ইউরেনিয়াম আসার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র।
তবে জ্বালানি এলেও কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। জনগণের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছাবে ২০২৫ সালের শুরুতে। রূপপুর কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট রয়েছে।
প্রথম ইউনিটের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রথম ইউনিট জ্বালানি স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হলে ইউরেনিয়াম ফুয়েল স্থাপন করা হবে। সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।