ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ (bangladesh) সরকার। এরই অংশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলযোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (brahmanbaria) আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কলকাতা (kolkata) থেকে ট্রেন আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের আখাউড়া হয়ে ভারতের কলকাতা ও আগরতলার মধ্যে নতুন রেল সংযোগ স্থাপন হবে।
এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং রফতানি নির্ভর ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হবে।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটারের বেশি ডুয়েলগেজ মেইন লাইন এবং ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লুপলাইন নির্মাণ করা হবে।
এর জন্য ৫৬ দশমিক ৫১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে তিনটি মেজর ব্রিজ ও ২০টি মাইনর ব্রিজ নির্মাণ এবং তিনটি স্টেশনে কম্পিউটারাইজড ইলেকট্রনিক সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তারকা চিহ্নসহ প্রকল্পটির অনুকূলে মোট ১০৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একনেকে উপস্থাপনের ফাইলে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।
ফলে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। প্রকল্পটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
কারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
এতে দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। রফতানি নির্ভর ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হবে।