বাংলাদেশের মেয়েরা প্রকৃতপক্ষে কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে? আদৌ তাঁরা কি নিরাপদ? পথে-ঘাটে বেরিয়ে বিপদ-আপদের সম্মুখীন হলে মানুষ কি তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন? নাকি অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন জানোয়ারের মতো! আসলে এগুলোই হয়ে চলেছে মূলত মেয়েদের সঙ্গে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই একই কথা যখন লেখিকা তসলিমা নাসরিনের মতো ধারালো লেখিকার ধারালো কলমের ছোঁয়ায় বই হয়ে প্রকাশ পায়, তখনই তাঁকে দেশ ছাড়া হতে হয়।
“আমার বাসা উপরশহর। বাসা দূর বলে আমি সাধারণত রুয়েট থেকে রেইলগেট পর্যন্ত অটোতে করে আসি। আজকেও প্রতিদিনের মতো অটো নিলাম, সাথে ছিল দুইজন অপরিচিত রুয়েটিয়ান ভাইয়া আর একজন ভদ্রলোক। রুয়েটিয়ান ভাই দুইজন চিশতিয়ার সামনে নেমে গেলেন।
ভদ্রা পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ অটোওয়ালা অটো থামায় দিলো, সামনে থাকা ভদ্রলোক কে বললো, ‘আপনি নেমে যান, আমি নিজস্ব লোক তুলবো!’ আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ভদ্রলোককে জোরপূর্বক নামিয়ে চারজন গুণ্ডা উঠে অটো চালানো শুরু হয়ে গেলো!
ভদ্রা থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি নির্জন, ইচ্ছামত সেই চারজন আমাকে স্পর্শ করা শুরু করলো। হাজারবার অটো থামানোর জন্য চিৎকার করার পরও অটোওয়ালা পশুর মতো হাসতে থাকলো…
পরে নগরভবনের সামনে পুলিশ দাঁড়ানো থাকতে দেখে ভয় পেয়ে তারা অটো থেকে ধাক্কা মেরে আমাকে ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে গেলো। যতক্ষণে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি ততক্ষণে অটো বহুদূর…
কাহিনীটা শুধু শেয়ার করলাম। এইটা বাংলাদেশ, কোনো বিচারের আশা আমি করছি না।
বি.দ্র. : অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে আমার পোশাক কি ছিলো? সাধারণ বাঙালি নারীর মত সালোয়ার কামিজ।”
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
এই লেখায় পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠল সমাজের কথা মতো পোশাক-আশাক ধর্ষণের মূল কারণ নয়। মূল কারণ হচ্ছে পুরুষের পঙ্গু মানসিকতা।
যুক্তি দিয়ে বললে, পোশাক যদি আসল কারণ হতো, তবে ২ মাসের দুধের শিশুটি কি করে ধর্ষিতা হয়?
এত সুন্দর সবুজ পৃথিবীতে বর্তমান সময়ে বাদ যাচ্ছে না পশুরাও! জঘন্যভাবে পশুদের নির্যাতন করে মেরে ফেলছে!
এই কি বাংলাদেশ? যেখানে মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা। কিন্তু আস্থা রাখতে পারছে না আইনের ওপর!