ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। জাতীয় ঈদগাহে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্যকোনো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।
কোনো দাহ্য পদার্থ আনা যাবে না।ঈদগাহে ভিআইপি যারা আসবেন তাদের জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেড থাকবে।
অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট ও টহল।এছাড়াও ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সন্দেহ হলেই চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও গাড়ি তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ব্যাপারে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি র্যাব।
তবে যেকোনো নাশকতা ও হামলা মোকাবিলায় র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও কমান্ডো টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোষাকে টহল জোরদার হয়েছে অপরদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো হুমকি নেই।
তবে শোলাকিয়া ঈদগাহে অতীতের দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মুসল্লিরা কোনো শঙ্কা ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন, এটা নিশ্চিত করেছি।