ঢাকা: বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারতে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি নীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের (Bangladesh) অগ্রাধিকার রয়েছে। যেকোনো ক্ষেত্রেই Bangladesh সবসময় অগ্রাধিকার পায়।
বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী Sheikh Hasina র সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে Bangladesh ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী Sheikh Hasina সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, Bangladesh কখনোই সন্ত্রাসবাদকে অনুমতি দেয়নি। এ লক্ষ্যে তিনি উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই।
আওয়ামী লীগ কখনোই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না এবং বাংলাদেশের মাটিকে কখনোই ব্যবহার করতে দেয় না। তিস্তা নদীর পানি চুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, Bangladesh ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ সব অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করতে পারে।
এছাড়া ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানান।
নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈঠকে শেখ হাসিনা এবং ভার্মা উভয়েই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করবে। সেই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিজেও দেশবাসীর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করছেন।
এসময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।