চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলা ( কুস্তি প্রতিযোগিতা) ও তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলার শেষদিনে চাটগাঁইয়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বুধবার বিকেলে ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে এ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি মিছিলও বের হয়।
এদিকে বুধবারও লালদীঘির আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৈশাখী মেলা থেকে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকরা তাদের সাংবাৎসরিক গৃহস্থালি সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন।
মূলত: চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে দেশের অন্য কোন নগরে এমন আনন্দঘন পরিবেশে নগর ভিত্তিক এমন কোন গ্রামীন আবহের মেলা হয়না। তাই শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশ এমনকি চট্টগ্রামের নাগরিক যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাও এই জব্বরের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা- বিক্রেতার লেনদেনের মধ্য দিয়ে তিনদিনব্যাপী এ মিলনমেলার সমাপ্তি ঘটলো। এ যেন সেই.. ভাঙলো মিলনমেলা ভাঙলো.. র মত।
এদিকে মেলার শেষদিনে বুধবার বিকেলে চাটগাঁইয়া আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের চলমান উন্নয়নযজ্ঞ ঠেকাতে সক্রিয় অপশক্তি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর আঘাত হানার ষড়যন্ত্র করলে চট্টলাবাসী প্রতিহত করবে।
মেয়র বলেন, বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রতিটি ঐতিহাসিক প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছে চট্টলাবাসী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেবল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিলনা, এ যুদ্ধ ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার যুদ্ধও।
আজও এ যুদ্ধ চলমান আর এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। তিনি বলেন, “আজকের উৎসবে চট্টলাবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করতে কাজ করছি তাদের মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এ ষড়যন্ত্র ঠেকাতে বীর চট্টলাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে আমরা জীবন দিব কিন্তু বাংলাদেশকে বেহাত হতে দিবনা।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এক বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেন চসিক মেয়রসহ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, মিটুল দাশগুপ্ত প্রমুখ। :: সমরেশ বৈদ্য