কারণ দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ। পরিণাম হাতের কব্জি কেটে নিয়ে গেল!
পাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে রাতের অন্ধকারে রুবেল হোসেন (২৮) কে দুষ্কৃতিরা তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংস শাস্তি দিল দুই হাতের কব্জি কেটে!
গুরুতর আহত রুবেলকে মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
পৈশাচিক এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে জাহাঙ্গীর ও আলাউদ্দিন নামক দুই যুবককে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। পদ্মা নদীর একটি ঘাটকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জের উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়েজ ও তার লোকজনের সঙ্গে রুবেল এবং তাঁর পরিবারের মনোমালিন্য চলছিল চলছিল।
কিন্তু তার পরিণতি যে এমন নৃশংস হবে, আন্দাজ করতে পারেননি রুবেল কিংবা তাঁর পরিবারের লোকজন।
বুধবার রাতে রুবেল তাঁর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাইক চালিয়ে আসছিলেন। ঠিক এ সময় শিবগঞ্জের উজিরপুর বেড়িবাঁধের কাছে কয়েকজন তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ান। এবং তাঁদের চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে গিয়ে দেখা করতে বলেন।
রুবেল বিশ্বাস করে বন্ধুদের নিয়ে চেয়ারম্যানের চেম্বারে গেলে তাঁর দুই বন্ধুকে ঘরে আটকে রেখে রুবেলের মুখ, হাত গামছা দিয়ে বেঁধে পদ্মা নদীর বাঁধের নিচে নিয়ে গিয়ে দুই কব্জি পুরো কেটে ফেলা হয়।
গভীর রাতে খবর পেয়ে রুবেলের পরিবার তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. বাহার উল্লাহ জানিয়েছেন, রুবেলের হাতের অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ভালোই আছেন। কিন্তু রুবেলের দুই হাতই কবজি পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে!
বাকি অভিযুক্তদের পাকড়াওয়ের জন্যে পুলিশি অভিযান জারি রয়েছে।