ঢাকা: মানবতার দিক বিবেচনা করে Bangladesh Rohingya শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। ২০১৭ সালের আগস্টে Myanmar সেনাবাহিনী Rohingya নিধনে নামে।
জীবন বাঁচাতে শুধু Rohingya শরণার্থীই নয়-বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় বেশ কিছু অপরাধী ও জঙ্গি গ্রুপ। তারা শুধু তাদের শিবিরই নয়, কক্সবাজার জেলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে Rohingya শরণার্থীদের সংখ্যা ১৩ লাখ।
অপরাধী ও জঙ্গি গ্রুপ শিবির থেকে তরুণী-যুবতীদের তুলে নিয়ে হোটেলে রেখে দেহব্যবসার পাশাপাশি বিদেশেও পাচার করছে। আধিপত্য নিয়ে নিত্যদিন গুলিযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। ঝড়ছে প্রাণ। এমন অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের বোঝা।
উখিয়া Rohingya ক্যাম্পে আমর্ড পুলিশ ও এলিট বাহিনী র্যাবের যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার ডা. রফিকসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে।
র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়েছে, মধ্যরাতে উখিয়া থানার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় তাদের। তাদের জালে ধরা পড়ে-ডা. রফিক কমান্ডার (৫৪), মোহাম্মদ রফিক (২০), মোহাম্মদ রফিক (২১), নুরুল আমিন (৩৪) ও খায়রুল আমিন (৩২)।
এরা সবাই আরসার সক্রিয় সদস্য। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া বাজারে আরসার জখম সদস্যদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে গেলে অভিযান চালায় এপিবিএন ও র্যাব।এসময় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। আটক ডা. রফিক ক্যাম্পে শাহাব উদ্দিন হত্যার আসামি।
অপরদিকে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়া এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি এলাকায় গহীন অরণ্যে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোপন আস্তানায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সংবাদে গত ৯ অক্টোবর থেকে ওই সব এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।
গত ২০ অক্টোবর ওই সব এলাকা থেকে ৭ জঙ্গি ও ৩ কেএনএফ সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি আরও ৫ জঙ্গিকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, যৌথবাহিনীর অভিযানের পর থেকে সন্ত্রাসীরা ১নং পাইন্দু ইউনিয়নে মারমা ও বম পাড়ায় অবস্থান নেয়।