নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়াসহ আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
প্রতারণা, অবৈধভাবে অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা প্রভৃতি অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে শামিমা, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান (৩৮), মফিজুরের ব্যক্তিগত সহকারী সাব্বির খন্দকার (২৯) ও পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবা (২২) কে জালে ফেলেছে র্যাব।
২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মফিজুর ও সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁরা নয়াদিল্লিতে যাওয়ার জন্যে তৈরি ছিলেন।
সেই দুজনের কাছ থেকে আরো তথ্য লাভ করে ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিন থেকে পাপিয়া এবং তায়্যিবাকে গ্রেফতার করেছে করে র্যাব-১–এর একটি দল।
তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে জাল টাকা, ডলারসহ প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা।
তল্লাশিতে উঠে এসেছে পাপিয়া কতটা অবৈধ-অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
র্যাব-১ সূত্রে জানা গেছে, পাপিয়ার আয়কর ফাইলে দেখা গেছে, তিনি বছরে ২২ লক্ষ টাকা আয় দেখিয়েছেন। যে স্থানে প্রতিদিন তাঁর বারের বিল হয় আড়াই লক্ষ টাকা।
এই টাকাগুলোর উৎস কোথায়? কোন পথে আয় হচ্ছে এই টাকা?
র্যাবের তদন্তে পাপিয়া স্বীকার করেছেন, হোটেলে যে পুরুষরা আসতেন তাঁদের সোহাগের জন্যে পাঠানো হতো মেয়ে।
এরপর সেই গোপন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে তাঁর কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করতেন পাপিয়া!
লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। আর এই সুযোগকে অনায়াসে কাজে লাগিয়ে নিজের গদি উঁচু করছিলেন পাপিয়া।
র্যাব, পাপিয়ার ব্যবহার করা এমন ৭ জন যুবতীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের কাছে থেকে জানা গেছে, সে মেয়েগুলোকে হোটেলে ব্যবহার করার বিনিময়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। অর্থাৎ এটি তাঁর হোটেল নয়, বেশ্যালয়ে পরিণত হয়েছিল। করেছিলেন পাপিয়া।
এদিকে কোন মেয়ে রাজি না হলে নির্মম অত্যাচার করতেন শামিমা পাপিয়া।